টাঙ্গাইল তাঁতশিল্প কুটির শিল্পও এবং তাঁতগুলো তাঁতীদের বাড়ির অভ্যন্তরে বসানো হয়। ৭২% কুটিরশিল্প পাঁচটি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত, ১১% তাঁত ছয় থেকে দশটি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং ৬% তাঁত এগার থেকে বারোটি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং অবশিষ্ট ১১% কুটিরশিল্প বারো এর অধিক তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত। বারো এর অধিক তাঁত সংবলিত কুটিরশিল্পগুলো ছোট কারখানা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[১]
১৯৯২ সালে, টাঙ্গাইল জেলায় ১ লাখের অধিক তাঁত ছিল এবং ১৫০০০০ তাঁতী সদর, কালিহাতি, নাগরপুর ও বসিল উপজেলায় বসবাস করত। ২০০৮ সালে ১০০০০০টি ছোট ও বড় কারখানায় ৩৭২২২টি তাঁত ছিল এবং ৭০০০০ তাঁতী টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেসিক সেন্টার এর অধীনে কাজ করত।[২] ২০১৩ সালের এক্টি শুমারীতে পাওয়া তথ্য অনুজায়ী, টাঙ্গাইল জেলায় অই সময়ে ৬০০০০ তাঁত ছিল। এর মধ্যে ৮৩০৫ টি পিট তাঁত, ৫১১৪১ টি চিত্তরঞ্জন তাঁত এবং ৮৯২ টি পাওয়ার তাঁত।
টাঙ্গাইল তাঁতশিল্প এর একক বৈশিষ্টর জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদ্দিত। টাঙ্গাইল শাড়ির তাতীরা বিশেষ দক্ষতার মাধ্যম টাংগাইল শাড়ি তৈরী করে। পাটাইল ইউনিয়নের বসাক সম্প্রদায় সব থেকে পুরোন সম্প্রদায় যারা এখপ্নো আদি ও অইতিহ্যবাহীতার সাথে তাঁতের শাড়ি তৈরী করে। এই শাড়ি তারা বাজিতপুর ও করটিয়া হাটে সপাহে দুই দিন বিক্রি করে। [১]
বর্তমানে সর্বমোত ৩২৫০০০ জন তাঁতী, মালিক ও ব্যবসায়ী-ক্রেতা এই পেশার সাথে সম্প্রিক্ত। ৩০০-২০০০০ টাকাইয় টাঙ্গাইল শাড়ি বিক্রি হয়ে থাকে।